নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে বাল্যবিয়ে করতে এসে কারাগারে গেলেন বর। অন্যদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানে আলমের হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেয়েছে এক স্কুলছাত্রী।
শনিবার উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের কাজীপাড়া হাজরাপুকুর গ্রামে অভিযান চালান ইউএনও। বন্ধ হয় বাল্যবিয়ে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মোহনপুর ইউনিয়নের কাজীপাড়া গ্রামের ইসমাইল হোসেনের সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ের সঙ্গে শিমলা গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে শাহরিয়ার আলম সবুজের (১৭) বিয়ের আয়োজন চলছিল। পাত্রপক্ষ লোকজন নিয়ে কনেপক্ষের বাড়িতে হাজির হয়।
এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে সন্ধ্যার দিকে গোদাগাড়ী নির্বাহী অফিসার জানে আলম পুলিশসহ ঘটনাস্থলে হাজির হন। ইউএনও ও পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বরপক্ষের অধিকাংশ লোক পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও বর সবুজ ধরা পড়েন।
সেখানেই ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে সবুজকে বাল্যবিয়ে আইন লঙ্ঘনের অপরাধে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা ও ৬ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। একইসঙ্গে মেয়ের মা সামলা বেগমকেও ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মেয়ে সাবালিকা হওয়ার আগ পর্যন্ত বিয়ে না দেওয়ার মুচলেকা আদায় করে ছেড়ে দেওয়া হলেও বরকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।